স্বদেশ ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পিছিয়ে গেছে বহুল প্রতীক্ষিত হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি। ইসরায়েল দাবি করছে, জিম্মি মুক্তির তারিখ পেছানোর কারণেই পিছিয়েছে এই চুক্তি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। হামাসের পক্ষ থেকেও প্রথম এমন আভাস মিলে মঙ্গলবার। গতকাল বুধবার মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী হামাস তাদের কাছে জিম্মি থাকা ৫০ জন বন্দি মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে হবে। চারদিন পরেও যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে। ৫০ জনের পর প্রতি ১০ জন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে একদিন করে যুদ্ধবিরতি বর্ধিত করবে ইসরায়েল।
মধ্যস্থতাকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে জিম্মি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি। কিন্তু সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুক্রবারের আগে হামাস জিম্মি মুক্তি দিচ্ছে না বলেজানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জাচি হানেগবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জিম্মির মুক্তির ব্যাপারে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’
শুক্রবারের আগে’ বন্দি মুক্তি ঘটবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন হানেগেবি। তিনি বলেন, বন্দিদের মুক্তি মূল চুক্তি অনুযায়ী হবে। তবে তা শুক্রবারের আগে নয়।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু নাও হতে পারে। এমনকি যেসব বন্দি মুক্তি পাবে তাদের নাম যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি হবে না।